বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

রেললাইনের নিচে ব্যবহৃত এগুলা আসলে কি?

রেললাইনের নিচে ব্যবহৃত এগুলা আসলে কি?



Ans: এক্সেল ডিটেক্টর সেন্সর

রেললাইনের প্রতি ৩ থেকে ৫ কিলোমিটারের নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে দেখতে পাওয়া যায় অ্যালুমিনিয়ামের এই বক্সটিকে। এটি আসলে যাত্রী সুরক্ষার কাজেই ব্যবহৃত হয়। রেলের ভাষায় এটিকে “অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্স” বলা হয়।


যদি কোনো ট্রেন কোনো দুর্ঘটনার স্বীকার হয় আর সেই কারণে সেই ট্রেনের কিছু বগি বা কোচ ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন এক্সেল কাউন্টার (Axle counter box) বলে দেয় যে কতগুলি চাকা বা বগি মিসিং রয়েছে। আর এর ফলে রেল কর্তৃপক্ষের বুঝতে সুবিধা হয় কটা বগি মিসিং রয়েছে ও কোন এলাকায় সেই বগি গুলি ট্রেন থেকে আলাদা হয়েছিল। আর এর ফলে দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তদন্ত করতে সুবিধা হয়।


রেল লাইনের ধারে থাকা এই এক্সেল কাউন্টার বক্স একটি ট্রেন পাস করার পর ট্রেনের এক্সেলকে কাউন্ট করে নেয় এবং পরবর্তী কাউন্টার বক্সকে সেই ইনফরমেশন দিয়ে দেয় ও সেই কাউন্টার বক্সটিও আবার একইরকম করে কাজ করে। কিন্তু যদি এক কাউন্টার বক্সের সাথে যদি আগামী কাউন্টার বক্সের ক্যালকুলেশন ম্যাচ না করে তখন আগামী এক্সেল কাউন্টার বক্স ট্রেন থামানোর জন্য সিগ্নালকে রেড করে দেয়।

রেল লাইনে পাথর দেয় কেনো?

রেল লাইনের উপর দিয়ে রেল চলাচলের সময় পুনপুন পীড়নের সৃষ্টি হয়। এই পীড়ন কে রেজিস্ট করা, বৃষ্টির পানি যাতে লাইনে জমে না থাকে, স্লিপার কে সঠিক অবস্থানে ধরে রাখার জন্য, মাটির তুলনায় পাথরের চাপ পীড়ন বহন করার ক্ষমতা বেশি, ইদুর বা অন্য কোনো কীটপতঙ্গ যাতে গর্ত না করতে পারে, ব্যালাস্ট একটি নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত দেওয়া হয়।

পৃথিবী ঘোরে নাকি সূর্য?

 পৃথিবী ৩৬৫.২৫ দিন পর পর সূর্যকে একবার করে প্রদক্ষিণ করে। তবে এতে করে পৃথিবী কখনোই তার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারেনা। কারণ সূর্য নামের তারাটি নিজের জায়গাতে চুপচাপ বসে থাকেনা। আমাদের এই গ্যালাক্সিতে থাকা কয়েক হাজার কোটি তারাদের মতো সূর্যও গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণ করা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত। 


সূর্যের একটা বছর হতে সময় লাগে আমাদের পৃথিবীর সময়ের হিশেবে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বছর। আর সেইজন্য সূর্যকে প্রতিটা সেকেন্ডে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার করে পথ পাড়ি দিতে হয়। ফলে আমাদের পৃথিবী সূর্যকে ৩৬৫.২৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করলেও সূর্য প্রতিটা মুহূর্তেই পৃথিবীকে টেনে তার সাথে করে অনেকদূর নিয়ে যায়। 


এই লেখাটা পড়তে পড়তেই হয়তো আমরা সূর্যের সাথে সাথে ৩০ লক্ষ মিটার সামনে এগিয়ে গেছি। ঠিক এই মুহূর্তে আমরা এখন যেখানে অবস্থান করছি, আর কখনোই সেখানে আমরা ফিরে আসতে পারবো না! 




আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্বের পৃথিবীতে প্রতিটা বছর নতুন। প্রতিটা দিন নতুন। প্রতিটা সেকেন্ড, এমনকি প্রতিটা মুহূর্তই নতুন। প্রায় নয়টা বছর হতে চলছে থার্টিফাস্ট উদযাপন আমি করিনা। তবে সমর্থন করি। মানব জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই আনন্দের সাথে উদযাপন করা উচিৎ। প্রতিটা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই কাটুক আনন্দ ও উল্লাসের সাথে।