শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

ফিফা বনাম আইসিসি, বছরে কার কত আয়

 


ফিফা ও আইসিসি সদর দপ্তরের ছবি

পৃথিবীতে জাতিসংঘ স্বীকৃত দেশ আছে ১৯৩টি। আর ফুটবলের বৈশ্বিক সংস্থা ফিফার সদস্যসংখ্যা ২১১।

রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেশের তুলনায় ফিফার সদস্যসংখ্যার আধিক্যই বলে দিচ্ছে ফুটবলের দুনিয়াটা কত বড়। ফুটবলই যে বিশ্বের জনপ্রিয়তম খেলা, তা নিয়ে তাই দ্বিধা নেই কারোরই। বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত বলছে, ফুটবলের পরের জায়গাটি ক্রিকেটেরই। খেলাটি প্রবল জনপ্রিয়—এমন অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং বিশ্বকাপের দর্শকসংখ্যার বিচারে ক্রিকেটকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশ্বজুড়ে ফুটবলের মূল অভিভাবক ফিফা (ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন), আর ক্রিকেটের অভিভাবক আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। দুটি সংস্থার জন্ম কাছাকাছি সময়ে। ফিফার প্রতিষ্ঠা ১৯০৪ সালে, প্যারিসে। আইসিসির যাত্রা ১৯০৯ সালে, লন্ডনে। বর্তমানে দুটিরই প্রধান কার্যালয় অন্যত্র। ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে, আইসিসির প্রধান কার্যালয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।

দুই বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফিফা যে আইসিসির চেয়ে ধনী—এ কথা সহজেই বোধগম্য। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবল চলে, খেলাধুলা অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি অর্থের ছড়াছড়ি এই খেলাকে কেন্দ্র করে। তুলনায় ক্রিকেটের দুনিয়া অনেকটাই সীমিত।

জুরিখে অবস্থিত ফিফা সদর দপ্তর
এএফপি

ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা দলগুলো, আরও স্পষ্ট করে বললে কমনওয়েলথের সদস্যদেশগুলোতেই ক্রিকেটের বিস্তৃতি বেশি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মতো বিশ্বের জনবহুল এলাকায় জনপ্রিয় বলে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতিও কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে টি–টোয়েন্টির সুবাদে আইসিসির মোট সদস্য সংখ্যা ১০৮–এ পৌঁছে যাওয়ায় ক্রিকেটও হাঁটছে বিশ্বায়ন, একই সঙ্গে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি আয়ের পথে।
এবার দেখা যাক, ফুটবল ও ক্রিকেটের দুটি বৈশ্বিক সংস্থা কে কেমন আয় করে?

ফিফা ও আইসিসি কেমন আয় করে

দুটি সংস্থারই আয়ের উৎস একই ধরনের। যার বেশির ভাগই আসে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে। এ ছাড়া বিপণন স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, টুর্নামেন্ট আয়োজন, সনদ স্বত্ব—এসব থেকে আয় করে থাকে ফিফা ও আইসিসি। দুটি সংস্থাই আয়-ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসাব করে থাকে দীর্ঘ মেয়াদে। মূলত অন্যান্য বছরের তুলনায় বিশ্বকাপের বছরে আয় বেশি হয় বলে একসঙ্গে কয়েক বছরের হিসাবকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।


দুবাইয়ে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ভবন
আইসিসি

আইসিসি বর্তমানে আট বছরের চক্রে আছে, যা শেষ হবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পরবর্তী চার বছরের আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফিফায় চার বছরের হিসাব সম্পন্ন করা হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের মাধ্যমে। এখন চলছে ২০২৩-২৬ চক্র।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফিফা কাউন্সিলে ২০২২ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯-২২ চক্রে ফিফা ৭৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ আয় হয়েছে ৩৪২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন