শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

মহাশূন্যের ৩৯ কিঃমিঃ উঁচু থেকে ফেলিক্স বাউমগার্টনারের জাম্প

সম্প্রতি “অস্ট্রেলিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানী পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে চার মিনিট পাঁচ সেকেন্ডে পৃথিবীতে পৌঁছান” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।


মহাশূন্যের ৩৯ কিঃমিঃ উঁচু থেকে ফেলিক্স বাউমগার্টনারের জাম্প

অনুসন্ধানে দেখা যায়, পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দেয়া ব্যক্তিটি অস্ট্রেলিয়ান কোনো মহাকাশ বিজ্ঞানী নয় বরং মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফ দেওয়া ব্যক্তিটি হচ্ছেন অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার ফেলিক্স বামগার্টনার।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এনার্জি ড্রিঙ্ক রেডবুলের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১২ সালে প্রচারিত Red Bull Stratos – World Record Freefall শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

 


ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয় যিনি স্ট্রাটোস্ফিয়ার (বায়ুমন্ডলের দ্বিতীয় স্তর, এই স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কি.মি. উচ্চতায় শুরু হয়ে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফ দিয়েছিলেন তার নাম হচ্ছে ফেলিক্স বামগার্টনার। তিনি স্ট্রাটোস্ফিয়ার থেকে লাফিয়ে ঘন্টায় আনুমানিক ১৫৭.৬ কিলোমিটার বা ৮৪৩.৬ মাইল গতিতে পৃথিবীতে পৌঁছেছেন। এমন ঘটনার মাধ্যমে তিনি গিনেজ বুকে রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন।


পরবর্তীতে কী- ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে Guinness World Records এর ওয়েবসাইটে Felix Baumgartner: First person to break sound barrier in free শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।


প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় ফেলিক্স বামগার্টনার হচ্ছেন একজন অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার।  ফেলিক্স বামগার্টনার ৩৮,৯৬৯.৪ মিটার বা ১২৭৮৫২.৩৬ফুট উচ্চতা থেকে প্যারাসুট জাম্প করে পৃথিবীতে পৌঁছেছিলেন।


এছাড়াও, CNN এর ওয়েবসাইটে ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ‘Goosebumps’ as daredevil jumps from edge of space শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় ফেলিক্স বামগার্টনার অস্ট্রিয়ার একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি থেকে স্ট্রাটোস্ফিয়ার থেকে প্যারাসুট জাম্প করে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফ দেন। বামগার্টনার একটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক বেলুনে  ১২৭৮৫২.৩৬ফুট উপরে উঠেছিলেন এবং একটি ফ্রিফল জাম্প সম্পন্ন করেছিলেন। যা তাকে মাটিতে নিরাপদে প্যারাশুটিং করার আগে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে যেতে সাহায্য করেছিল।


মূলত, ২০১২ সালে অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার ফেলিক্স বামগার্টনার স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক বেলুনে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ফুট উপরে উঠে একটি ফ্রিফল জাম্প সম্পন্ন করেছিলেন। যা তাকে মাটিতে নিরাপদে প্যারাশুটিং করার আগে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে যেতে সাহায্য করেছিল। অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার ফেলিক্স বামগার্টনারের করা এই ফ্রি ফল জাম্পকেই অস্ট্রেলিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানীর করা ফ্রি ফল জাম্প দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রেড বুল সারা বিশ্বের মানুষের কাছ থেকে তাদের প্রতি আরও মনোযোগ আকর্ষণ করতে এবং বিশ্বব্যাপী মিডিয়াগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে “রেড বুল স্ট্রাটোস” ছিলো একটি পাবলিসিটি স্টান্ট।

সুতরাং, অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার ফেলিক্স বামগার্টনারের ফ্রি ফল জাম্পের ভিডিওকে অস্ট্রেলিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানীর লাফ দেওয়ার ভিডিও দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।


তথ্যসূত্র:

Red Bull- YouTube : Red Bull Stratos – World Record Freefall

Guinness World Records: Felix Baumgartner: First person to break sound barrier in free

ESPN: Baumgartner makes record freefall

The Guardian: Felix Baumgartner on cancelled space jump: ‘there’s no way’ he’ll give up 

CNN: ‘Goosebumps’ as daredevil jumps from edge of space 

Forbes:Felix Baumgartner’s Jump Proves the Power of Publicity Stunts

শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

বাংলার নীলনদ খ্যাত সিলেটের ‘লালাখাল’

  

বাংলার নীলনদ খ্যাত সিলেটের ‘লালাখাল’



বাংলার নীলনদ খ্যাত সিলেটের ‘লালাখাল’

সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় স্বচ্ছ নীল পানির নদী ‘লালাখাল’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। পানি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও আপনাকে দেবে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। লালাখালে গেলে আদিবাসীদের সঙ্গে আপনার সখ্যের সুযোগও থাকছে! সবকিছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়, কাঙ্ক্ষিত ও প্রতীক্ষিত একটি স্থান।

সড়কপথ, নৌপথ দুভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নৌ ভ্রমণটা বেশি উপভোগ্য বলে এটাকেই বেছে নেয় অধিকাংশ পর্যটক। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখাল ভ্রমণের জন্য শীতের প্রথম ভাগটাই উপযুক্ত সময়। চাইলে বৃষ্টির দিনে ভ্রমণ করা যেতে পারে। তবে শীতের সময়টা বেশ নিরাপদ।

বলে নেওয়া ভালো, চাইলে সারা দিন লালাখালে কাটাতে পারেন, আবার দিনের শেষ ভাগটা কাটিয়ে আসতে পারেন। সারা দিনের জন্য গেলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় ফিরলে দুই ধরনের আনন্দ পাওয়া যায়। লালাখালের চারপাশে সন্ধ্যার আগমুহূর্তটা আরো অবিস্মরণীয়। ওপরে আলোকিত আকাশ। ক্লান্ত সূর্য ঢলে পড়ছে পশ্চিম আকাশে। চারপাশে গাছপালার মধ্যে পাখির কিচিরমিচির।

এসব দেখলে মনে হয়, পাহাড় থেকে তিরতির সন্ধ্যা নেমে আসছে। ধীরে ধীরে গোধূলিকেও আঁধার ঢেকে দেয়। ক্রমে চারপাশে নেমে আসে আঁধার। সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে লালাখালের স্বচ্ছ নীল জলে। সঙ্গে জ্যোৎস্না রাতে নৌকায় লালাখাল পাড়ি দেওয়ার মজাই আলাদা। তবে সতর্ক থাকতে হবে। আপনি চাইলে আগেভাগে বুকিং দিয়ে রাত কাটাতে পারবেন লালাখালের পাশে সদ্য গড়ে ওঠা একমাত্র রিসোর্টে। রিসোর্টের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। স্পিডবোটে লালাখালের নীল জল চিরে এগিয়ে যাওয়াটা আপনার আনন্দ বাড়িয়ে দেবে।

সিলেট থেকে সড়কপথে সিলেট-তামাবিল সড়কে সারিঘাট এসে তার পর এক থেকে দেড় ঘণ্টার নৌ ভ্রমণ। ইঞ্জিনচালিত নৌযানের গতির ওপরে সেটা নির্ভর করে। সিলেট থেকে এলে সারিঘাট থেকে নৌকা ভাসাতে হয়। সারিঘাটে নামলেই যে কারোর মনটা হালকা হয়ে আসবে। পাথরের ঢাল আর খালের স্বচ্ছ নীল জল দেখতে যে কারো ভালো লাগবে।

সারিঘাট থেকে প্রতি ঘণ্টায় নৌকা ছেড়ে যায়। স্থানীয়রা নৌকায় যাতায়াত করেন। খালের যেখানে শুরু, সেখানেই রয়েছে সুন্দর এক চা বাগানসহ ফ্যাক্টরি। বাগানটিও খুব পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর। পাশে পাড়ার ছেলেদের খেলার ফুটবল মাঠে চাইলে জমিয়ে ফুটবল খেলে নিতে পারেন, যদি প্রস্তুতি থাকে। ওখানেই চাইলে ঘুরে আসা যাবে আদিবাসীদের পল্লী। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ আপনাকে নিয়ে যাবে অচেনা এক দেশে। একটু এগোলেই ওপারে ভারতের সীমান্ত আপনাকে জানিয়ে দেবে, আর এগোনোর পথ নেই।

লালাখালের দুই পাড়ে তেমন কোনো বাড়িঘর নেই; কিন্তু আছে হরেক রকমের গাছপালা। যেন চারপাশে সবুজের হাতছানি। মাঝেমধ্যে কাশবনের ঝোপ চোখে পড়ে। তবে নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে। প্রতিটি বাঁকই দেখার মতো সুন্দর। নদী থেকে দূরে পাহাড় দেখা যায়। দেখলে যতটা কাছে মনে হয়, আসলে তত কাছে না। পাহাড়গুলোকে দেখলে মনে হয়, কেউ যেন নিজ হাতে থরেথরে একের পর একটি করে সাজিয়ে রেখেছে। এখানে পাহাড়ের গায়ে মেঘ জমা হয়। একটু কাছ থেকে দেখা যায়, মেঘেরা দল বেঁধে পাহাড়ের গায়ে ঠেস লাগিয়ে থেমে থাকে। আবার কখনো দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে সবার অলক্ষ্যে হারিয়ে যায়। কখনো মেঘ বেশি জমা হলে এখানে বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। নদী আর পাহাড় মেলবন্ধনে নদীর টলটলে স্রোতস্বিনী জল আর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণাধারা, এ যেন প্রকৃতির এক মায়াময়ী রূপের বাহানা। নদীর জলে নৌকার ওপর বসে পাহাড় দেখার সৌর্ন্দযই আলাদা। দল বেঁধে এখানে এলে সুবিধা বেশি, কারণ নৌকা ভাড়াটা কমে যায়। ভ্রমণে আনন্দও উপভোগ করা যায় এবং সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দ ভাগাভাগি করা যায়।

জায়গাটার নামের সঙ্গে ‘খাল’ শব্দ যুক্ত হলেও এটা মূলত একটা নদীরই অংশ। নদীর নাম সারি। পানি স্থির নয়, সব সময় চলমান। কেননা, চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে বেয়ে আসা পানি গড়িয়ে চলেছে লালাখাল দিয়ে। নদীতে স্রোত থাকায় যাওয়ার পথে সময় বেশি লাগে, তেমনি ফিরতি পথে পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা।

এ নদীর পানি নীল, কিন্তু নাম কেন লালাখাল হলো? এমন প্রশ্ন অনেকের। লালাখালকে কেন লালাখাল বলা হয়, তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকেও এর কোনো ব্যাখ্যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদীর পানি নীল কেন, বলা মুশকিল। প্রকৃতিতেই এ নদীর পানি নীল। তাই নদীর পানি নিয়ে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। হতে পারত নীলাখাল। মিসরের নীল নদ দেখা সবার ভাগ্যে নাও জুটতে পারে। তবে দেশের এ খাল দেখে নীল জলারাশি দেখার আক্ষেপ মিটতে পারে। কেউ বা আবার নীল নদ দেখতে উদগ্রীবও হতে পারেন। ভ্রমণ শেষে আপনার মনে হতে পারে, এটা সিলেটের নীল নদ বা বাংলার নীল নদ।

থাকার জায়গা : এতক্ষণে আপনার মন চাইছে ঘুরতে আসতে লালাখাল। সঙ্গে যদি অনুসঙ্গ যোগ হয়? আপনি চাইলে পারবেন লালাখালের পাড়ে রাত কাটাতে। আগে সুবিধাটা ছিল না। এখনো যে খুব বেশি, তা বলা যাবে না। একটা মাত্র রিসোর্ট। আগে থেকে বুকিং দিয়েই আসতে হয়। না হলে জায়গা পাওয়া কষ্ট। নর্দার্ন রিসোর্ট নামে রিসোর্টটির নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়া সিলেট শহরে রাত যাপন করে একদিনে মাত্র লালাখাল ঘুরতে পারেন। অথবা বিছনাকান্দি ও জাফলং যেকোনো একটার সঙ্গে মিলিয়ে বিকেলের ভ্রমণটা লালাখালে হতে পারে। সিলেট শহর থেকে বেশ দূর হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে নদীতে কোনো নৌকা থাকে না। তাই ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করতে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় নৌকা ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করলে।

যেভাবে যাবেন : লালাখালে যেতে হলে সিলেটের শিশু পার্কের সামনে থেকে লেগুনা অথবা জাফলংয়ের বাসে চেপে সিলেট-তামাবিল সড়ক ধরে যেতে হবে সারিঘাট। সিলেট আর জাফলং মাঝামাঝি এ স্থানটির নাম সারিঘাট। আগেই বলা হয়েছে, যাওয়ার জন্য পথ দুটি সড়কপথ ও নৌপথ। সড়ক পথে যেতে চাইলে মাইক্রোবাস বা কার ভাড়া নিলে ভালো হয়। তা ছাড়া সিলেট শহর থেকে বাস, লেগুনায় সারিঘাট গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিতে পারেন। নৌপথে যেতে চাইলে আগে সারিঘাট পর্যন্ত একই নিয়মে বাস, লেগুনায় গিয়ে নৌযান ভাড়া নিতে হবে। ফেরার পথে এখান থেকে বাসে কিংবা লেগুনায় আসতে পারবেন। রাত ৮টা নাগাদ যানবাহন পাওয়া যাবে।

খরচ : সড়কপথে যেতে বেশি লোক হলে মাইক্রো ভাড়া নিলে ভালো। খরচটা কম হবে। সিলেট শহর থেকে শুধু লালাখালের জন্য মাইক্রোর ভাড়া দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে হবে, কার নিলে ভাড়া এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। সারা দিনের প্ল্যান হলে ভোরে সিলেট থেকে রওনা দিতে হবে। তা ছাড়া বাস কিংবা লেগুনায় ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সারিঘাট যেতে পারবেন। সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া ৮০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা আর স্পিডবোটে যেতে চাইলে ভাড়া এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা কম হতে পারে। নৌযানে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে, ভাড়া একই।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩

প্রথমবারের মতো দেখা গেল পানির নিচে সম্পূর্ণ টাইটানিক। টাইটানিকের বিরল ছবি



টাইটানিক জাহাজের বিরল ছবি প্রকাশ 

প্রথমবারের মতো দেখা গেল পানির নিচে সম্পূর্ণ টাইটানিক।

বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জাহাজডুবির ঘটনা, টাইটানিকের এমন কিছু ছবি প্রকাশ পেয়েছে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। প্রথমবারের মত টাইটানিকের পূর্ণ আকারের ডিজিটাল স্ক্যান এই ছবিগুলো। যা গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আটলান্টিকের ৩৮০০ মিটার (১২০০০ ফুট) পানির নিচে অবস্থিত টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের একটি পূ্র্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে। ক্যামেরায় তোলা ৭ লক্ষ ছবির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ছবিগুলো।




ছবিগুলো পুরো জাহাজের একটি অসাধারণ থ্রিডি ভিউ তুলে ধরেছে। মনে হচ্ছে যেন জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের চারপাশ থেকে সব পানি নিষ্কাশন করে ফেলা হয়েছে।


বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটির সাথে ঠিক কি ঘটেছিল তা জানতে নতুন একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে এই ছবিগুলো।


ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার উদ্দেশে প্রথমবারের মত সমূদ্রে যাত্রা করে জাহাজটি। সেই প্রথম যাত্রায় জাহাজটি একটি বিশাল আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।




১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে টাইটানিককে ঘিরে ব্যাপক অনুসন্ধান হয়েছে।কিন্তু জাহাজটি এতটাই বিশাল যে- পানির নিচে গভীর অন্ধকারে, ক্যামেরাগুলি কেবল ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু স্ন্যাপশট দেখাতে পারে, পুরো জাহাজটি কখনোই দেখাতে পারেনি।


নতুন প্রকাশিত এই ডিজিটাল স্ক্যানটি ধ্বংসাবশেষের একটি পরিপূর্ণ দৃশ্য তুলে ধরেছে। জাহাজটি দুটি অংশে ভাগ হয়ে সমূদ্রতলে পড়ে আছে। ভাঙা জাহাজটিকে ঘিরে রয়েছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।




স্ক্যানটি ২০২২ সালের গ্রীষ্মে ম্যাগেলান লিমিটেড নামের একটি গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন কোম্পানি মিলে তৈরি করেছে। একইসাথে তারা প্রকল্পটি সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করছে।


টাইটানিকের এই ডিজিটাল স্ক্যান তৈরি করতে তাদের সময় লেগেছে ২০০ ঘণ্টারও বেশি। তারা টাইটানিকের প্রতিটি কোণ থেকে ছবি তুলেছে। প্রায় ৭ লক্ষ ছবির সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে টাইটানিকের এই ডিজিটাল ছবিটি।




এই অভিযানের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ম্যাগেলানের গেরহার্ড সিফার্ট। তিনি জানান, এটি তার হাতে নেওয়া সবচেয়ে বড় আন্ডারওয়াটার স্ক্যানিং প্রকল্প।  টাইটানিক যেখানে আছে, মহাসাগরের সেই স্থানটির গভীরতা প্রায় ৪ হাজার মিটার।  এটি তাদের কাজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।  তীব্র স্রোতও জয় করতে হয়েছে তাদের।  তিনি বলেন, আমরা জাহাজের কোনও কিছু স্পর্শ করিনি, যাতে ধ্বংসাবশেষের ক্ষতি না হয়।




তিনি আরও বলেন, আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল- প্রতি বর্গসেন্টিমিটারের মানচিত্র তৈরি করা।  তা না হলে পুরো জাহাজের চিত্র তুলে ধরা সম্ভব ছিলনা।  কিছু কিছু স্থানে ধ্বংসাবশেষ কাদামাটিতে ডুবে ছিল।  সেগুলো স্ক্যান করা ছিল খুব কঠিন।


হারিয়ে যাওয়ার ১০০ বছর পরেও জাহাজটির বডি অনেকটা ভালো আছে। এখনও তাত্ক্ষণিকভাবে দেখে চেনা যায়- এটাই টাইটানিক।




বহু বছর ধরে টাইটানিক নিয়ে গবেষণা করা পার্ক স্টিফেনসন জানান, তিনি প্রথম যখন স্ক্যানগুলো দেখেছিলেন, তখন বিস্মিত হয়েছিলেন।


তিনি বলেন, স্ক্যান করে তৈরি করা টাইটানিকের অবস্থা দেখে আপনি ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে ধারণা পাবেন। নতুন এই স্ক্যানে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন জাহাজটি।  ধ্বংসাবশেষের একদম আসল অবস্থা দেখতে পাওয়া যাবে এখানে।




পার্ক স্টিফেনসন আরও বলেন, স্ক্যানগুলো রিসার্চ করে ১৯১২ সালের সেই ভয়ানক রাতে টাইটানিকের সঙ্গে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া যেতে পারে।  আমরা সত্যিই হিমশৈলের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষের ধারণাটি বুঝতে পারি না।  জাহাজটি কীভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হানে, সেটিও এখন গবেষণা করা যেতে পারে।


https:///facebook.com/aliahmedunofficial
https://aliahmedonline.wordpress.com

শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

ফিফা বনাম আইসিসি, বছরে কার কত আয়

 


ফিফা ও আইসিসি সদর দপ্তরের ছবি

পৃথিবীতে জাতিসংঘ স্বীকৃত দেশ আছে ১৯৩টি। আর ফুটবলের বৈশ্বিক সংস্থা ফিফার সদস্যসংখ্যা ২১১।

রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেশের তুলনায় ফিফার সদস্যসংখ্যার আধিক্যই বলে দিচ্ছে ফুটবলের দুনিয়াটা কত বড়। ফুটবলই যে বিশ্বের জনপ্রিয়তম খেলা, তা নিয়ে তাই দ্বিধা নেই কারোরই। বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত বলছে, ফুটবলের পরের জায়গাটি ক্রিকেটেরই। খেলাটি প্রবল জনপ্রিয়—এমন অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং বিশ্বকাপের দর্শকসংখ্যার বিচারে ক্রিকেটকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশ্বজুড়ে ফুটবলের মূল অভিভাবক ফিফা (ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন), আর ক্রিকেটের অভিভাবক আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। দুটি সংস্থার জন্ম কাছাকাছি সময়ে। ফিফার প্রতিষ্ঠা ১৯০৪ সালে, প্যারিসে। আইসিসির যাত্রা ১৯০৯ সালে, লন্ডনে। বর্তমানে দুটিরই প্রধান কার্যালয় অন্যত্র। ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে, আইসিসির প্রধান কার্যালয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।

দুই বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফিফা যে আইসিসির চেয়ে ধনী—এ কথা সহজেই বোধগম্য। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবল চলে, খেলাধুলা অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি অর্থের ছড়াছড়ি এই খেলাকে কেন্দ্র করে। তুলনায় ক্রিকেটের দুনিয়া অনেকটাই সীমিত।

জুরিখে অবস্থিত ফিফা সদর দপ্তর
এএফপি

ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা দলগুলো, আরও স্পষ্ট করে বললে কমনওয়েলথের সদস্যদেশগুলোতেই ক্রিকেটের বিস্তৃতি বেশি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মতো বিশ্বের জনবহুল এলাকায় জনপ্রিয় বলে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতিও কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে টি–টোয়েন্টির সুবাদে আইসিসির মোট সদস্য সংখ্যা ১০৮–এ পৌঁছে যাওয়ায় ক্রিকেটও হাঁটছে বিশ্বায়ন, একই সঙ্গে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি আয়ের পথে।
এবার দেখা যাক, ফুটবল ও ক্রিকেটের দুটি বৈশ্বিক সংস্থা কে কেমন আয় করে?

ফিফা ও আইসিসি কেমন আয় করে

দুটি সংস্থারই আয়ের উৎস একই ধরনের। যার বেশির ভাগই আসে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে। এ ছাড়া বিপণন স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, টুর্নামেন্ট আয়োজন, সনদ স্বত্ব—এসব থেকে আয় করে থাকে ফিফা ও আইসিসি। দুটি সংস্থাই আয়-ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসাব করে থাকে দীর্ঘ মেয়াদে। মূলত অন্যান্য বছরের তুলনায় বিশ্বকাপের বছরে আয় বেশি হয় বলে একসঙ্গে কয়েক বছরের হিসাবকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।


দুবাইয়ে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ভবন
আইসিসি

আইসিসি বর্তমানে আট বছরের চক্রে আছে, যা শেষ হবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পরবর্তী চার বছরের আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফিফায় চার বছরের হিসাব সম্পন্ন করা হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের মাধ্যমে। এখন চলছে ২০২৩-২৬ চক্র।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফিফা কাউন্সিলে ২০২২ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯-২২ চক্রে ফিফা ৭৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ আয় হয়েছে ৩৪২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩

এনভেলপ প্যারাডক্স

এনভেলপ প্যারাডক্স

  আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ

চলুন একটি খেলা খেলি। আপনাকে একটা খাম দিলাম। খুলে দেখলেন, এতে ২০ টাকা আছে। আর এদিকে আমার হাতে আছে আরেকটি খাম। আপনাকে জানালাম, আমার হাতের খামে হয় ১০ বা ৪০ টাকা আছে। মানে আপনার খামের টাকার অর্ধেক বা দ্বিগুণ। দুই পরিমাণের সম্ভাবনা সমান ৫০% করে। আপনাকে দুটো অপশন দিলাম।



২. খাম বদলে নিলে গড়ে ৫ বার ১০ টাকা আর ৫ বার ৪০ টাকা পাবেন। তাহলে মোট পাবেন ১০ x ৫ + ৪০ x ৫ = ৫০ + ২০০ = ২৫০।

১০ বারে ৫ বার করেই দুটো ধরার কারণ, সম্ভাবনা ৫০% করে হওয়া।

তাহলে দেখা গেল, পাল্টালে লাভ। দারুণ!

আরেকটা খেলা!

আমার হাতে আছে দুটো খাম। কোনটায় কত আছে তা আপনাকে জানাইনি। শুধু বললাম, একটায় আরেকটার দ্বিগুণ টাকা আছে। আপনাকে বললাম, ইচ্ছামতো একটা তুলে নিন। তবে আগের মতো ভেতরে কত আছে তা দেখা যাবে না। এবারও আপনাকে দুটো অপশন দিলাম।

১. তোলা খামটা রেখে দিন।

২. অন্য খামটা নিন, যাতে অর্ধেক বা দ্বিগুণ টাকা আছে।

আপনি কি খামটা পাল্টাবেন?

হিসাবে কী আসে দেখি!

ধরুন তোলা খামটায় ক পরিমাণ টাকা আছে। তাহলে অন্য খামে আছে হয় ক/২ বা ২ক টাকা। দুটো পরিমাণেরই সম্ভাবনা সমান ৫০%।

আগের মতো ১০ বার কাজটা করলে কী হয় দেখি।

১. না পাল্টালে পাবেন ক x ১০ = ১০ক টাকা

২. পাল্টালে পাবেন ২ক x ৫ + ক/২ x ৫ = ১০ক + ৫ক/২ = ১২.৫ ক

দ্বিতীয় অপশনে গড়ে বেশি আসে আগের মতোই। তাহলে পাল্টালে লাভ!

গাণিতিক বুদ্ধির সদ্ব্যবহার করে আপনি পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। আপনার হাতে এখন দ্বিতীয় খামটি।

এবার আমি আপনাকে আরেকটা অফার দিলাম। বললাম, খাম আরেকবার পাল্টাবেন?

আপনি প্রথম খামটার দিকে তাকালেন, যা একটু আগেই আপনার কাছে ছিল। তাকালেন, অপর খামের দিকেও। কোনটায় কী আছে জানা নেই। তবে এটা পরিষ্কার, পাল্টালেই আপনি আগের মতোই অর্ধেক বা দ্বিগুণ পাবেন। আগেই দেখেছি আমরা, পাল্টালে লাভ। অতএব, পাল্টান।

এতে করে ফিরে গেলেন আগের জায়গায়। এবারও খাম নেয়ার আগে মনে পড়ল, পাল্টে নিলে লাভের সম্ভাবনা বেশি। তাই আবার পাল্টালেন। আবার, আবার, আবার...

শেষমেশ দেখা গেল, টাকা পাওয়ার বদলে আপনি বাকি জীবন খাম পাল্টাতে পাল্টাতে সময় পার করবেন।

লেখক: প্রভাষক, পরিসংখ্যান বিভাগ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে যায় কেনো?

 তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে যায় কেনো?

 সারা দেশে প্রচণ্ড গরম। কোথাও কোথাও ৪০-৪৬ ডিগ্রি তাপ। মানুষ তো হাপিয়ে যাচ্ছে এমনকি তীব্র গরমে রেল লাইন বেঁকে যাচ্ছে। এর তো একটা ব্যাখ্যা আছে। তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? 



রেললাইনের দুই পাতের মধ্যবর্তী স্থান ফাঁকা রাখা হয় কেনো? যখন ট্রেন চলাচল করে তখন পাত গরম হয়ে বড় হয়ে যায়। তাই দুই পাতের মধ্যবর্তী স্থান একটু ফাঁকা রাখা হয়। 

কোনো কিছু তে তাপ দিলে সেটা বড় হয়। রেললাইন অতিরিক্ত গরমের কারণে বড় হয়। দৈর্ঘেও বাড়ে আবার প্রস্থেও বাড়ে। রেললাইন বসানোর সময় দুইটা লোহার পাত এর মধ্যে একটু ফাঁকা জায়গা রেখে বসানো হয়। যাতে গরমে লোহার পাত এর আয়তন বাড়লেও লাইন এর কোনো সমস্যা না হয়। কিন্তু গরম বেশি হওয়ায় ওই ফাঁকা জায়গা পূরণ হয়ে যাওয়ার পরেও রেললাইন বৃদ্ধি পাইতে থাকে তখন ঐ লাইন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকায় বেকে যায়।

৯/১০ এর ফিজিক্স বইতে বিস্তারিত পাবেন।